কী হবে ভারতে ২১ দিনের লক ডাউনে? সকাল ৬টা থেকে এখন ১০টা পর্যন্ত ঝিল রোড এবং পাল বাজার এলাকায় জনস্রোত। সবাই বাজারে যাচ্ছে। এটা বিগত তিনদিন ধরে দেখছি। থানাকে ফোন করে, পুলিশ দেখিয়ে কোন লাভ হচ্ছে না। গড়ফা থানার বড়বাবু আমার বারংবার ফোন পেয়ে পাল বাজারে এসেছিলেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। আমরা সবাই খুব চিন্তিত। কিন্তু ‘দিন আনি, দিন খাই’ মানুষের কি হবে?
আমি আমার এলাকায় কিন্তু দেখলাম ‘দিন আনি, দিন খাই মানুষ’ ঘর থেকে বের হয়নি। আমরা কেউ কেউ বেরিয়েছি, কচি সজনে ডাটা পাওয়া যাচ্ছে বলে, কেউ বলছি মাছ সস্তা, চিংড়িটা একটু বেশি করে কিনে রাখলাম। একজন বললেন, এই নিয়ে আমার তিনবার বাজার আসা হলো। কী করবেন বলুন!
টিভি খুলে দেখলাম, বেলঘড়িয়া বাজার, যদুবাবুর বাজার, বাঘাযতীন বাজার, মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি; সবখানে এক অবস্থা। বোঝে না এর মানে কি, তারা কবে বুঝবে? ইতালির মতো যেদিন ৭০ বছর বয়স্ক মানুষদের চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হবে, কিংবা প্রতিদিন ৫০০ করে লোক মারা যাবে সেদিন বুঝবে?
তেলেঙ্গানা সরকার ঘোষণা করেছেন, রাস্তায় কাউকে দেখলেই গুলি করা হবে। পশ্চিমবাংলায় রাস্তা ফাঁকা কিন্তু বাজার এবং বাজার সংলগ্ন এলাকাগুলো করোনা ছড়ানোর জন্য যথেষ্ট।
আমার এই পোস্ট যারা দেখছেন যেভাবে হোক নিজের এলাকায় এই দৌরাত্ম্য বন্ধ করুন, সজনে ডাটা বা চিংড়ি মাছ প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য হতে পারে না।
অনেকেই দিন পনেরোর জন্য সব বাজার ঘরে তুলে নিয়েছেন। তারা অন্তত বাজার আসাটা বন্ধ করুন। না হলে প্রশাসনকে অনুরোধ, বাজারটা বন্ধ করে দিন। শুধু মুদি দোকান চালু রাখুন, যেখানে চাল, ডাল, আলু পাওয়া যাবে। কাঁচা বাজার বন্ধ না করলে লকডাউন নিস্ফল হবে।
© All Rights Reserved - QTV Bangla
Developed By - Web Design Expert BD